ডিসেম্বরে চালু মেট্রো রেল, ১০ মিনিট পর পর ট্রেন

আগামী ডিসেম্বর থেকে মেট্রো রেলে যাত্রী পরিবহন করতে চায় সরকার। সেই লক্ষ্যে চলছে বিভিন্ন ধাপের পরীক্ষামূলক চলাচল। এরই মধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ট্রেনের ফাংশনাল টেস্ট শেষ হয়েছে। পারফরম্যান্স টেস্টও প্রায় শেষ। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে শেষ ধাপের পরীক্ষা। একে ইন্টিগ্রেশন বা সমন্বতি টেস্ট বলা হয়।

আজ সোমবার সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক এ তথ্য জানান।

এম এ এন ছিদ্দিক জানান, সেপ্টেম্বরের প্রথম দিন থেকেই হবে ইন্টিগ্রেশন বা সমন্বিত ট্রায়াল রান। যেখানে প্রতিটি স্টেশনে কতক্ষণ ট্রেন থামবে, কখন দরজা খুলবে কিংবা বন্ধ হবে আবার ট্রেনের ভেতর থেকে কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে কিভাবে যোগাযোগ স্থাপন হবে সে বিষয়গুলোর খুঁটিনাটি দেখে নেওয়া হবে। এর পরের ধাপ ব্ল্যাংক টেস্ট বা যাত্রীবিহীন চলাচল। সেখানে যাত্রীসহ কিভাবে ট্রেন চলাচল করবে সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।

মেট্রো রেল চালু হলে কত মিনিট পর পর ট্রেন চলবে সে বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক পর্যায়ে চলতি বছরের ডিসেম্বরে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত যে বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু হবে সেই পর্বে চলবে ১০টি ট্রেন। প্রথম দিন ১০ মিনিট পর পর ট্রেন চলাচল করবে। দ্বিতীয় দিন হয়তো সাত মিনিটে নামিয়ে আনা হবে। ক্রমান্বয়ে যাত্রীর চাপের ওপর নির্ভর করবে আমরা কতক্ষণ পর পর ট্রেন ছাড়ব। অনেক বেশি যাত্রী অপেক্ষমাণ থাকলে আমরা সাড়ে তিন মিনিট পর পর ট্রেন ছাড়ব। ফজরের নামাজের সময় থেকে শুরু করে রাত ১২টা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করবে। ’

মেট্রো রেলের টিকিটের বিষয়ে তিনি জানান, মেট্রো স্টেশনে প্রথমে ঢোকার পরই দেখা যাবে, সেখানে টিকিট কিভাবে কাটা হয়। দুইভাবে টিকিট কাটা যাবে। একটা ম্যানুয়াল ব্যবস্থা, অন্যটি নিজে টিকিট কাটার ব্যবস্থা। তারপর একটা হলরুমে ঢুকতে হবে। সেই হলরুমে ৫০ জনের বসার ব্যবস্থা আছে।

এদিকে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ সিম্যুলেটর সংগ্রহ করেছে। সেটি স্থাপনের কাজ চলছে। যারা ট্রেন অপারেটর করবে তাদের ১ অক্টোবর থেকে এই সিম্যুলেটরের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হবে বলে জানা গেছে।

সূত্র : কালের কণ্ঠ